বাংলাদেশ ফুটবল/ সাফের শুরুটা হোঁচট দিয়েই

সাফের শেষ পাঁচ আসরে গ্রুপ পর্বেই বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। এবারও শুরুটা প্রত্যাশা মতো হলো না। লেবাননের কাছে টুর্নামেন্টে নিজেদের মিশন শুরু করেছে ২-০ গোলের হার দিয়ে।

লেবানন র‌্যাঙ্কিংয়ে ৯৩ ধাপ এগিয়ে থাকা প্রতিপক্ষ হওয়ায় বাংলাদেশ মাঠে নেমেছিল বাস্তবতা মাথায় নিয়ে। ফলে টুর্নামেন্টের অতিথি দলটির বিপক্ষে ন্যূনতম এক পয়েন্ট আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল। ৭৯ মিনিট পর্যন্ত সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে চোখে চোখ রেখেও খেলেছে। কিন্তু পরের মিনিটে হয়েছে সর্বনাশ। সুযোগ পেয়েই শেষ দিকে দারুণ দুটি গোল করে বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় লেবানন।

বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তীরাভা স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধটা ছিল জমজমাট। এই অর্ধে লেবাননকে গোল করতে দেয়নি লাল-সবুজ দল। বরং আরব দলটির বিপক্ষে চোখ রাঙানি দিয়ে খেলছে। বিরতির আগ পর্যন্ত দুই দলই আক্রমণ-প্রতি আক্রমণনির্ভর ফুটবল উপহার দিয়েছে। কেউ গোলের দেখা পায়নি যদিও।

লেবাননের আক্রমণাত্মক ফুটবলের বিপরীতে বাংলাদেশ রক্ষণ জমাট করে খেলেছে। পাশাপাশি প্রতিপক্ষের অ্যাটাকিং থার্ডে গিয়ে ছড়িয়েছে ভীতি। ম্যাচঘড়ির ১৫ মিনিটে লেবানন প্রথম সুযোগটি পায়। করিম দারউইচের বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে গেছে।

২১ মিনিটে সবচেয়ে ভালো সুযোগটি নষ্ট করে বাংলাদেশ। ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের ডান প্রান্তের ক্রসে সুমন রেজা হেড করার আগেই গোলকিপার হাত দিয়ে সেটি প্রতিহত করলে গোল পাওয়া হয়নি। পরের মিনিটে জামালের দূরপাল্লার শট গোলকিপার তালুবন্দি করেছেন।

৩৫ মিনিটে আবারও আক্রমণে যায় লেবানন। আলিআল হাজ কোনাকুনি শট নিলেও গোলকিপার জিকো হাত দিয়ে সেটি প্রতিহত করেছেন। ৪৩ মিনিটে ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ডান প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকে জোরালো শট নিলেও তা পোস্টের বাইরে দিয়ে গেছে।

লেবাননের বিপক্ষে ৪-৩-২-১ ছকে খেলা বাংলাদেশ বিরতির পর পরিবর্তন আনে তিনটি। ৫৭ মিনিটে হাভিয়ের কাবরেরা জনির জায়গায় মোরসালিন, জামালের জায়গায় হৃদয় ও সুমন রেজার জায়গায় নামান রবিউলকে। তাতে ৬০ মিনিটে ম্যাচের সেরা সুযোগটিও আসে। কিন্তু নিজেদের অর্ধ থেকে হৃদয়ের লং পাসে বক্সে ঢুকে কিপারকে একা পেলেও ফাহিমের শট রুখে দেন তিনি।

শেষের দিকে প্রতি-আক্রমণ থেকে দুটি গোল আদায় করে নেয় লেবানন। ৭৯ মিনিটে তারিক কাজীর ভুলের চড়া মাশুল দিতে হয় বাংলাদেশকে। ডারউইচের আড়াআড়ি পাসে হাসান মাতুক প্লেসিং শটে জিকোকে পরাস্ত করেছেন। যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে বাংলাদেশের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন খলির বাদের। প্রতি-আক্রমণ থেকে দ্বিতীয় গোল করে বাংলাদেশকে ছিটকে দেন ম্যাচ থেকেই।

এই পরাজয়ে গ্রুপ পর্বে বাকি দুটি ম্যাচ ফাইনাল মনে করে খেলতে হবে লাল-সবুজদের। ২৫ জুন মালদ্বীপের বিপক্ষে তাদের দ্বিতীয় ম্যাচ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.