বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট’র ১০ লাখ টাকায় নতুন স্বপ্ন

৫০ স্টার্টআপ পেয়েছে ১০ লাখ করে ৫ কোটি টাকা; যৌথভাবে বিজয়ী ২ স্টার্টআপ পেয়েছে ১ কোটি করে ২ কোটি টাকা।

 

তরুণ উদ্যোক্তা বা স্টার্টআপদের প্রেরণা দিতে সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের ‘উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্প (আইডিয়া)’ বিগের আয়োজক।

এটি তৃতীয় আয়োজন।

 

রোবট্রি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও হেড অব আরএনডি সাইফুদ্দীন মুন্না বাংলানিউজকে বলেন, ২০২০ সালে করোনা মহামারির সময় আমাদের এই স্টার্টআপটি প্রতিষ্ঠিত হয়। মূলত স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের রোবটিক্সের মতো বিষয়কে কীভাবে উৎসের সঙ্গে শেখানো যায় এ বিষয়ে কাজ করছি আমরা। আমাদের শেখার কিডবক্স ইতিমধ্যে বাজারে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। আমাদের ট্রেনিং ম্যানুয়ালগুলো ছড়িয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে।  আমরা বিশ্বাস করি যে সব শিক্ষার্থী ছোটবেলায় এ ধরনের রোবটিক্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা আইওটি নিয়ে কাজ করবে তারা ভবিষ্যতে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ করার জন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রী যে লক্ষ্য হাতে নিয়েছে সেটি সুচারুভাবে সম্পন্ন হবে।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সরকারি অনুদান পাওয়ায় আমরা নতুন করে স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু করেছি। দুইটি প্রকল্প জমা দিয়েছিলাম আমরা। এর মধ্যে একটি ১০ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের জন্য ট্রেনিং কিড। যা দিয়ে ১৫-২০টি রোবট তৈরি করতে পারবে তারা। এর জন্য প্রাথমিক কিছু কোডিং আমরা শিখিয়ে দেব। আরেকটি প্রকল্প হচ্ছে খেলনা রোবট তৈরি। যাতে ছোট্ট সোনামণিরা রোবটটি দিয়ে খেলার পাশাপাশি শিখতে পারবে। নিজেরা রোবটটিকে কমান্ড দিয়ে ডানে বামে পরিচালনা করতে পারবে।

‘ডেয়ার টু স্ট্যান্ড বিগ’ স্লোগানে এবারে সারাদেশে ক্যাম্পেইন শেষে প্রাথমিক পর্যায়ে ৬ হাজার ৮৪৬টি স্টার্টআপ ও উদ্ভাবক এ প্রতিযোগিতায় আবেদন করেছিল। শনিবার (১৭ জুন) রাজধানী ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে গ্র্যান্ড ফিনালেতে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান।

রোবট্রি বাংলাদেশের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং চিফ টেকনোলজি অফিসার আমিনুল ইসলাম বলেন, বিগ-২০২৩ আয়োজন এক কথায় অসাধারণ। দেশের প্রায় ৭হাজার স্টার্টআপের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে ফাইনাল রাউন্ডে যাওয়া এক অন্যন্য প্রতিযোগিতার অভিজ্ঞতা। ফাইনালিস্টদের নিয়ে যশোর শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে আয়োজন করা হয় তিন দিনের বুটক্যাম্প। যেখানে একটা আইডিয়া থেকে কীভাবে সফল ব্যবসাতে রূপান্তর করা যায় সেটার প্রশিক্ষণ দেন দেশসেরা সফল উদ্যোক্তারা। সরকারি প্রচেষ্টাতে এ ধরনের আয়োজন দেশের উদ্ভাবন এবং স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম আরও অনেক দূর নিয়ে যাবে। আশা করি এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

প্রতিষ্ঠানের অন্যান্যদের মধ্য থেকে সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্তাবক দাশ, সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ মুসা, সহ-প্রতিষ্ঠাতা  ইউনুছ মোস্তফা, সহ-প্রতিষ্ঠাতা দেবাশীষ ধর, নাঈম ঊল হক, ফারহান ইশরাক তাদের এই প্রতিষ্ঠানটি সামনের দিন গুলোতে বাংলাদেশের প্রযুক্তির বাজারে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.